রূপকথার এক গল্প লিখে শিরোপা জিতেছেন ভার্ডি-মাহরেজরা। স্টামফোর্ড
ব্রিজের ম্যাচটা শেষ হতে না হতেই রাস্তায় নেমে এল পাগলপারা লেস্টারবাসী।
কেউ কেউ রানিয়েরির নাম ধরে চেঁচাচ্ছিল, কেউ কেউ ভার্ডি, আবার কেউ কেউ
স্লোগান তুলছিল মাহরেজের নামে। নীল-সাদা জার্সি পরে সবাই তখন আবেগে কাঁপছে,
কেউ কেউ ভেঙে পড়েছে কান্নায়। রূপকথার গল্পটা এভাবে সত্যি হয়ে যাবে,
লেস্টার সিটি সমর্থকেরা কি কখনো ভেবেছিল?

এই মৌসুম শুরুর আগে কেউ যেটা ভাবেনি, কাল সেটাই হয়েছে। স্টামফোর্ড ব্রিজে টটেনহামের সঙ্গে চেলসির ম্যাচটা ২-২ গোলে ড্র হওয়ার পরেই নিশ্চিত হয়েছে, শিরোপা উঠছে লেস্টারের হাতেই। সে জন্য লেস্টার কোচ ক্লদিও রানিয়েরি এডেন হ্যাজার্ডকে একটা ধন্যবাদ দিতেই পারেন। বিরতির সময় যখন টটেনহাম ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল, মনে হয়েছিল লেস্টারকে বোধ হয় আরও একটা ম্যাচ অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় চেলসি।
৫৮ মিনিটে গ্যারি কাহিলের গোলে ব্যবধান কমানোর পর ৮৩ মিনিটে হ্যাজার্ডের দুর্দান্ত এক গোলে সমতা ফেরায় স্বাগতিকেরা। গত বছর এই হ্যাজার্ডের গোলেই ইংলিশ লিগ নিশ্চিত করেছিল চেলসি। আর এবার সেই হ্যাজার্ডই গোল করে লেস্টারকে উপহার দিলেন শিরোপা! ১৯৭৮ সালে নটিংহাম ফরেস্টের পর আবার নতুন কোনো চ্যাম্পিয়ন পেল ইংল্যান্ড।
লেস্টারের উদযাপনটাও হয়েছে অন্যরকম। রানিয়েরি কাল ম্যাচের সময় ইংল্যান্ডে ছিলেন না, মায়ের সঙ্গে দেখা করতে উড়ে গিয়েছিলেন জন্মভূমি ইতালিতে। সেখান থেকে ফেরার সময়ই হয়তো পেয়েছেন খবরটা। লেস্টারের
ফুটবলারদেরও কাল ছুটি ছিল। চেলসি-টটেনহাম ম্যাচ দেখতে অনেকেই জড়ো হয়েছিলেন ভার্ডির বাসায়। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই শিশুর মতো উল্লাসে মেতে ওঠেন সবাই। হেঁড়ে গলায় গান গেয়ে, একে ওকে জড়িয়ে ধরে আনন্দ করতে থাকেন। লেস্টারের ক্রিস্টিয়ান ফুকসের পোস্ট করা ভিডিওটা এর মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুক-টুইটারে। নিজেদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা, তাও আবার গত বছর অবনমন অঞ্চল থেকে উঠে এসে- ভার্ডিরা আবেগে বেসামাল হয়ে গেলে খুব একটা দোষ দেওয়া যাবে না!
লেস্টারের রাস্তায় মিছিল করাদের একজন স্টিভ রবিনসনের কথায় বোঝা যাবে সমর্থকদের আবেগটা, ‘এই বছর আমি বিয়ে করেছি, বাবাও হয়েছি। কিন্তু এটার (লেস্টারের শিরোপা) সঙ্গে বাকি কিছুর তুলনা হয় না।’ ১৩২ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ক্লাবটি। অবশেষে এতগুলো বছর পেরিয়ে এসে জিতল শীর্ষ লিগের শিরোপা!
এই মৌসুম শুরুর আগে কেউ যেটা ভাবেনি, কাল সেটাই হয়েছে। স্টামফোর্ড ব্রিজে টটেনহামের সঙ্গে চেলসির ম্যাচটা ২-২ গোলে ড্র হওয়ার পরেই নিশ্চিত হয়েছে, শিরোপা উঠছে লেস্টারের হাতেই। সে জন্য লেস্টার কোচ ক্লদিও রানিয়েরি এডেন হ্যাজার্ডকে একটা ধন্যবাদ দিতেই পারেন। বিরতির সময় যখন টটেনহাম ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল, মনে হয়েছিল লেস্টারকে বোধ হয় আরও একটা ম্যাচ অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় চেলসি।
৫৮ মিনিটে গ্যারি কাহিলের গোলে ব্যবধান কমানোর পর ৮৩ মিনিটে হ্যাজার্ডের দুর্দান্ত এক গোলে সমতা ফেরায় স্বাগতিকেরা। গত বছর এই হ্যাজার্ডের গোলেই ইংলিশ লিগ নিশ্চিত করেছিল চেলসি। আর এবার সেই হ্যাজার্ডই গোল করে লেস্টারকে উপহার দিলেন শিরোপা! ১৯৭৮ সালে নটিংহাম ফরেস্টের পর আবার নতুন কোনো চ্যাম্পিয়ন পেল ইংল্যান্ড।
লেস্টারের উদযাপনটাও হয়েছে অন্যরকম। রানিয়েরি কাল ম্যাচের সময় ইংল্যান্ডে ছিলেন না, মায়ের সঙ্গে দেখা করতে উড়ে গিয়েছিলেন জন্মভূমি ইতালিতে। সেখান থেকে ফেরার সময়ই হয়তো পেয়েছেন খবরটা। লেস্টারের
ফুটবলারদেরও কাল ছুটি ছিল। চেলসি-টটেনহাম ম্যাচ দেখতে অনেকেই জড়ো হয়েছিলেন ভার্ডির বাসায়। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই শিশুর মতো উল্লাসে মেতে ওঠেন সবাই। হেঁড়ে গলায় গান গেয়ে, একে ওকে জড়িয়ে ধরে আনন্দ করতে থাকেন। লেস্টারের ক্রিস্টিয়ান ফুকসের পোস্ট করা ভিডিওটা এর মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুক-টুইটারে। নিজেদের ইতিহাসের প্রথম শিরোপা, তাও আবার গত বছর অবনমন অঞ্চল থেকে উঠে এসে- ভার্ডিরা আবেগে বেসামাল হয়ে গেলে খুব একটা দোষ দেওয়া যাবে না!
লেস্টারের রাস্তায় মিছিল করাদের একজন স্টিভ রবিনসনের কথায় বোঝা যাবে সমর্থকদের আবেগটা, ‘এই বছর আমি বিয়ে করেছি, বাবাও হয়েছি। কিন্তু এটার (লেস্টারের শিরোপা) সঙ্গে বাকি কিছুর তুলনা হয় না।’ ১৩২ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ক্লাবটি। অবশেষে এতগুলো বছর পেরিয়ে এসে জিতল শীর্ষ লিগের শিরোপা!
No comments:
Post a Comment